MY KOLKATA IN KOLKATA 2.0 Exhibition

MKIK 2.0 hosted more than 50 professionals and enthusiasts who have experienced and were able to capture such fleeting experiences that told us more about the concept of leisure, and the way it informs and transforms the lives of the people. Going through these photographs one could truly understand the way people rest, revitalize and re- engage with life in Kolkata. Their rather conspicuous relationship with leisure—a love affair, really—was gently unravelled in these photographs. A case in point was Subhadip Saha’s A Lazy Morning¸ which showed a man nonchalantly combing his hair at a roadside barber shop totally ignoring the urgent writing on the wall that reads: ‘Hobe ki hobe naa?’ / ‘Is it going to happen or not?’. Or for that matter, in Soumen Chakraborty’s Leisure at Kolkata Maidan, the ‘maidan’ emerged as an inclusive space as the boundaries between a businessman and a beggar could possibly dissolve in their search for leisure. Many such images and stories were showcased in this exhibition. We hoped that the spectators would enjoy looking at them and experience through the photographs Kolkata’s quintessential love affair with leisure.

সেই বহুকাল ধরেই কলকাতায় নানানরকমের মানুষ আসেন, তাঁদের নানান ভাষা, এক-একরকম পোশাকের ধরণ, খাবারের পছন্দ, যাপনের নানারকমের আদবকায়দা। এই নানান ভিন্ন সংস্কৃতিকে কলকাতা চিরকাল আপন করে নিয়েছে তার নিজের মাটি-জলের সঙ্গে। বিভিন্ন আচার, যাপন মিলেমিশে কলকাতার নিজস্ব পরিচয় গড়ে উঠেছে। কিন্তু, এইসব বদলের মধ্যেই কলকাতার নিজস্ব গতিকে অনেকসময় আলস্য বলে ভুল বোঝা হয়েছে। এই শহরের একটা নিজস্ব ছন্দ আছে, আর সেই ছন্দের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হল, অবসর যাপন। এই অবসরের কলকাতার যে ছবি তা অনেক ক্ষেত্রেই অধরা থেকে গেছে।
এই দ্রুতগতির উবের-ওলায় চড়া জীবনে মাঝেমাঝে সেই ট্রামের কথা মনে হয়, মাঝগতিতে এগিয়ে চলেছে একটু করে, তার নিজস্ব গমকে। সে এক অন্য চলা, ভাবনার এক অন্য পরিসর খুলে যায় সেই গতিহীন গতিময়তায়। সেই ছন্দে ডুবে যাওয়ায় আলসেমি নেই, বরং এই ছুটে চলার মধ্যে একটু থমকে দাঁড়িয়ে জীবনের অর্থকে খুঁজে পাওয়া থাকে। ঠিক যেমন এই ইঁদুর দৌড়েও বাসস্টপে চা-য়ে চুমুক পড়ে, পাশের বাড়ি আড্ডা হয় সন্ধেয়, আলোচনায় আসে রাজনীতি, খেলা, খাবার আরও কত কী। এমনকি পাবজি নেশাকে তুড়ি মেরে কলকাতা অফিস যাওয়ার আগে দাবাও খেলে নেয়।
এইসব অবসর যাপনের মধ্যেই কলকাতা শহরের নিজস্ব ছবি ধরা পড়ে, যেখানে কলকাতার প্রাণ থাকে, ক্লান্তি থেকে জীবনে ফেরার রসদ থাকে - ফটোগ্রাফারদের চোখে বারেবারে এই দৃশ্য নানাভাবে ধরা দিয়েছে। 
অনেকের মতে, সাধারণভাবে কর্মমুখরতা বলতে আমরা যা বুঝি, অবসর সময়গুলো কাজকে নতুনভাবে দেখতে শেখায়। যা যা আমাদের ঔচিত্যের, দায়িত্বের বোঝার মতন থাকে, অবসর সময় তার মধ্যে আমাদের একটু শ্বাস নিতে সাহায্য করে, নিজেদের দিকে তাকানোর অবকাশ পাই আমরা।
কোভিড-১৯ এবং লকডাউনে অবসরের ছবিটা এক্কেবারে যে বদলে গিয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। সময় হয়েছিল অন্তহীন। সারা বিশ্ব এক অনিশ্চয়তায় স্তব্ধ হয়ে  গিয়েছিল হঠাৎ করে, প্রতিদিনের জীবন যেভাবে থমকে দাঁড়িয়েছিল সেখানে অবসরযাপন হয়ে উঠেছিল বিলাসিতা। চিরাচরিত দ্রুতগতিতে কাজ বা অবসরের কাজ - সবের মধ্যেকার সীমারেখা ঝাপসা হয়েছিল, ঠিক যেমন পার্থক্য ছিল না বাড়ি আর অফিসের মধ্যে, ঘর আর বিশ্বের মধ্যেকার দেওয়ালের মতনই। এই ভীষণ অনিশ্চয়তা আমরা পার করলাম কী করে? বিকেলবেলার ছাদের বাগান কি একইভাবে শান্ত করত তখনও? নাকি নতুন নতুন রান্না আর প্রিয়জনের হাসিমুখ খানিক স্বস্তি দিচ্ছিল? বা, হয়তো, কফির কাপ হাতে মেঘের দিকে চেয়ে থাকা?
কলকাতার অবসর এভাবে নানান দিক নিয়েছে এই সময়, বদল এখনও ঘটছে। এক-একজন মানুষ এক একভাবে এইসময় অবসরকে খুঁজে পেয়েছেন বা সাজিয়ে নিয়েছেন নিজের মতন করে, সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে। 

আমরা ফটোগ্রাফারদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি যারা নানাভাবে কলকাতার এই অবসরকে ধরে রেখেছেন বা রাখছেন। যে অবসরের ছবি ছিল, তা বদলে কেমন হল? এই নতুন অবসর কেমনভাবে মিশে গেল কলকাতার মানুষের মধ্যে, ঘরে, পথঘাটে?

Platform - Zoological Garden, Alipore, Kolkata (Next to Zoo Library)

Dates -   27th March to 4th April 2021

Collaboration - In collaboration with WEST BENGAL ZOO AUTHORITY